ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বার্টোল্ট ব্রেখটের “দ্য মেজারস টেকেন” (সিদ্ধান্ত) নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।নাটকটিতে অভিনয় করছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান সোহান, নাসরিন সুলতানা, মোঃ তানভীর আহমেদ, প্রণব রঞ্জন বালা এবং বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোহর চন্দ্র দাস, যিনি পূর্ববতী সময়েও বিভাগের বিভিন্ন প্রযোজনায় অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিকল্পনাতেও যুক্ত ছিলেন। নাটকটির দেহবিন্যাস এবং চলন পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং দেশের অন্যতম ভরতনাট্যম শিল্পী অমিত চৌধুরী।
সিদ্ধান্ত বা দ্য মেজারস টেকেন প্রকৃতপক্ষে কয়েকজন বিপ্লবীর এমন এক সঙ্কটাপন্ন পরিণতিকে নির্দেশ করে, যা এক তরুণ কমরেডের মৌহূর্তিক আবেগের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্র্যাটেজিক বিপ্লবের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হয়ে ওঠে অতি সাংঘর্ষিক। আর পার্টি থেকে বিচ্যুত কিন্তু জনতার প্রতি মহাজাগতিক মমত্ববোধ সত্ত্বেও এই তরুণ কমরেডকে অন্যান্য কমরেডের সহযোগিতায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর পরিণতি গুনতে হয়। এই মৃত্যু হত্যা নয়, আবার আত্মহত্যাও নয়, তবে কি? এক অপরিমেয় বেদনার ভার বিষয়ক কথন যখন দর্শকের ক্রিটিক্যাল জাজমেন্ট প্রত্যাশা করে তখন আমরা, এই নাটকের রক্তাপুত কুশীলবেরা-নিজেদের সৃজনবাসনাকে এক আত্মগত নির্মাণের ধারায় বইয়ে দিই। এ কথা তো কহতব্য যে, নির্দেশকের অঙ্গুলি হেলনে আমরা ক্লীব ক্রীতদাস নয় তথাপি স্মরণে আসে ফ্রেডরিখ হেগেল-মানুষের সত্তাগত প্রত্নরূপ সবশেষে দ্বিধাবিভক্ত প্রভু আর দাস। তাই শ্রেণীবিভক্ত সমাজের সোপান আমাদেরকে যদিও কনজিউমার হতে ডাকছে তবুও একবার গর্জে উঠি, গান গাই, গোঙাই, আর্তস্বরে ডেকে উঠি-মানুষের বুকের ভেতরে আমরা শিল্পী নয়, স্রষ্টা নয়-শুধু মানুষের অবয়ব হয়ে উঠে।