ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালায়’ সংরক্ষণের জন্য শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ এবং শহিদ মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার (ফারহান ফাইয়াজ)-এর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শহিদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং শহিদ মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এসব জিনিসপত্র আজ ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জুলাই অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে একাডেমিক গবেষণা, আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হতাহতদের কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদানেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে ইতোমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের সম্মান জানাতে তাঁদের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালায় শহিদদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণের মাধ্যমে শহিদ পরিবারদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়