ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, কবি নজরুলের কবিতা, নাটক, উপন্যাস, গানসহ সকল সৃষ্টিকর্মে যে মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার অসাধারণ ভাবনা ও দর্শন উপস্থাপিত হয়েছে, তা সর্বযুগে ও সর্বকালে সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক। নজরুলের এসব মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের দর্শনে অসাধারণ মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের দর্শন ও চেতনা যুগে যুগে সব জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরণার উৎস। আজ ২৭ আগস্ট ২০২৩ রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, কবি নজরুলকে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে তাঁর যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহন ও সুচিকিৎসা করানোসহ তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেন। কবি নজরুলের মতো বঙ্গবন্ধুও একটি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও সাম্যবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে প্রতিটি মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে। বঙ্গবন্ধু এবং নজরুলের দর্শনের আলোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকলকে সাথে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ-এর নেতৃত্বে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।
এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৬:১৫টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবি’র সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।এছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়