ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১৫ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। সভার প্রারম্ভে ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবিধানিক কাঠামোর আলোকে শাসনব্যবস্থা পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করতেন। এ কারণেই তিনি দ্রুততম সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সাংবিধানিক বিধি-বিধানের আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু’র দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানান দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, দেশকে উন্নত করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজের কাছে পৌঁছে দিতে ‘বঙ্গবন্ধু চর্চা’ বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন।
এছাড়া, উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘স্মৃতিতে অম্লান মহানায়ক’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
উপ-পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়