গত ১৫-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ‘ডিইউ_এসেন্ডিং’ দল অংশগ্রহণ করে ও মোট ১২টি সমস্যার মধ্যে ৫টি সমস্যার সমাধান করে অংশগ্রহণকৃত ১৪১টি দলের মধ্যে ৫৬তম স্থান অর্জন করেছে। ‘ডিইউ_এসেন্ডিং’ দলের সদস্যরা হলেন জুবায়ের রহমান, নাঈমুল ইসলাম সোয়াদ ও অয়ন শাহরিয়ার এবং কোচ হিসেবে ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। আইসিপিসি রিজিয়ন বিভাজনে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়া ওয়েষ্ট অঞ্চলে। এ অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ৩টি দল ছাড়াও ভারতের ১০টি আইআইটিসহ মোট ১১টি, পাকিস্তান হতে ১টি, ইরান হতে ২টি ও আফগানিস্তান হতে ১টি দল ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। এশিয়া ওয়েষ্ট অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং রানার্স আপ হয়েছে ‘ডিইউ_এসেন্ডিং’ দলটি। এবারের আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালে দেওয়া মোট ১২টি সমস্যার মধ্যে ৯টি সমস্যা সমাধান করে পুরো প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সমপরিমান সমস্যা সমাধান করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে রাশিয়ার মস্কো ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি ও চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি। সমপরিমাণ সমস্যা সমাধান করলেও সময়ের ব্যবধানে তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত ০৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) -তে অনুষ্ঠিত আইসিপিসি আঞ্চলিক বাছাইপর্ব ২০২৩ এ ‘ডিইউ_এসেন্ডিং’ দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং নিয়ে প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অলিম্পিয়াড ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে’র (আইসিপিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং বিষয়ক এ প্রতিযোগিতা খুবই সম্মানজনক। একে প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপও বলা হয়। এবারের আইসিপিসি আয়োজন করেছে কাজাখস্তান কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং ফেডারেশন; মিনিস্ট্রি অব ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট, ইনোভেশনস অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি অব দ্য রিপাবলিক অব কাজাখস্তান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হোল্ডিং কর্প ও আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।
দলের ০৪ জন সদস্যের ভ্রমণ ব্যয় নিয়ে আমাদের একটি বড় চিন্তার বিষয় ছিল। আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ইনসাইট এন্টারপ্রাইজ সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং এর সিইও জনাব মোহাম্মদ আবু নাওয়ার সিদ্দিক (৫ম ব্যাচ) এর নিকট তাঁর সদয় স্পন্সরশিপের জন্য। আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা থাকছে ড. আহসান রাজা চৌধুরীর কাছে তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টার সমন্বয় করার জন্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে অসংখ্য প্রাক্তন ছাত্রদের অবদানের জন্য। CSEDU ২০তম ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাক্তন ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আমরা জনাব শিপলু হাওলাদারকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যিনি উত্তর আমেরিকার প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে সমন্বয় করেছিলেন এবং ড. জুলিয়াস হোসেনকে, যিনি ইউরোপের প্রাক্তন ছাত্রদের অবদান সমন্বয় করেছিলেন৷ আরও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের নিয়মিত অবদানকারী DOHATEC কে একটি বড় তহবিল প্রদান এবং এই তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে সমন্বয় করার জন্য আমরা সিএসইডিইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব কাজী মোঃ মাহবুবুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ ফয়সাল হোসেনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। আমরা আমাদের প্রাক্তন ছাত্র সমন্বয়কদের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিগত অবদান পেয়েছি, এবং আমরা এই প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি, বিগত বছরের মতো এবারও আমরা সরকারের আইসিটি বিভাগের সহযোগিতা আশা করছি।