ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল এবং ঢাকা¯’ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার-এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল ২২ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার রাতে জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুন্ডুর সভাপতিত্বে রবীন্দ্র-নজরুল বিষয়ে আলোচনা করেন ভারতের বিশিষ্ঠ লেখক ও কলামিস্ট মথুরানাথ কুন্ডু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশে সংস্কৃতির বিকাশে যে অবদান রেখে চলেছে সেজন্য তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমারেখা থাকলেও মানসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে আমরা এক। পশ্চিববঙ্গের সাথে বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির রয়েছে অনেক মিল। তাছাড়া বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে কোন সীমারেখা ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা নেই। এ ধরনের অনুষ্ঠানের ফলে আমাদের সাংস্কৃতিক মান ও পারস্পরিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটে। উপাচার্য আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনই আমাদের নিত্যসঙ্গী। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপনা জুগিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। এসব ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের জানা দরকার এবং বাংলা সাহিত্যের এই দুই পুরোধা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও আরও বেশি করে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
মূল আলোচনায় মথুরানাথ কুন্ডু বলেন রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল দুজনই তাদের শিল্প, গান, সুর বা কবিতা দিয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেন। বাঙালীর জন্য রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীই সবচেয়ে ভালো উৎসব। সংস্কৃতির এই চর্চার মাধ্যমে আমরা জীবনকে উপভোগ করার পাশাপাশি শিক্ষালাভও করে থাকি। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষের সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ‘বাংলাদেশ’ নামটিও রবীন্দ্রনাথ প্রথম ব্যবহার করেন ১৯০৫ সালে তাঁর গানে, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে .. .. ..’। এছাড়াও তিনি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও তাঁদের সম্পর্ক বিষয়েও মথুরানাথ তাঁর আলোচনায় আলোকপাত করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর পূজা সেনগুপ্তের নেতৃত্বে নৃত্য পরিবেশন করে তুরঙ্গমী রেপার্টরী ড্যান্স থিয়েটার, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন অদিতি মহসিন এবং নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন ড. নাশিদ কামাল।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল এবং ঢাকা¯’ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার-এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল ২২ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার রাতে জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবিতে উপাচার্যকে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করতে দেখা যা”েছ। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল এবং ঢাকা¯’ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার-এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল ২২ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার রাতে জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবিতে উপাচার্যসহ অতিথিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যা”েছ। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)