যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ উদ্যাপনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীমূল প্রস্তুত করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষ এবছর সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে সীমিত পরিসরে একটি প্রভাতফেরি বের করা হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রভাতফেরিতে নেতৃত্ব দেবেন। বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেবেন। প্রভাতফেরি সহকারে তারা আজিমপুর কবরস্থান হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়া, বাদ জোহর/সুবিধাজনক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদুল জামিয়া, সকল হলের মসজিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত/শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা করা হবে।
কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আগত সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়া, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ০৫ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ০২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ প্রণীত হয়েছে। তা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এবছর কোন জনসমাগম ও অভ্যর্থনার ব্যবস্থা থাকবে না। তাই শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে কোন জনসমাগম করা যাবে না।
উল্লেখ্য, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং আজিমপুর কবরস্থানে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের সকল অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বরাবরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি শক্তিশালী ‘অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’ এবং বিভিন্ন সাব-কমিটি নিষ্ঠার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছে।
---------------------
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়