ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস (কারাস) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’-এর ৭ম পর্বে বক্তারা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রচনায় দেশের প্রান্তিক মানুষের চিত্র সাবলীলভাবে ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর রচনার শব্দছবির মধ্যেই তাঁর ‘স্বনির্ভর' দর্শনের চিত্র রয়েছে। গতকাল ১১ নভেম্বর ২০২১, বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘বঙ্গবন্ধুর রচনায় স্বনির্ভর ভাবনা’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালার এই পর্ব আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’র পরিচালক ও ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. এম. আকাশ। এতে স্বাগত দেন রাখেন কারাসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। ‘বঙ্গবন্ধুর রচনায় স্বনির্ভর ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারাসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো কাজী সামিও শীশ। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ভাষানটেক সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মোহন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি-এর রিসার্চ ফেলো হাসান নিটোল অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বনির্ভর ভাবনায় মানব কল্যাণের পাশাপাশি নারী ও শিশুর প্রতিও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষমতার শর্তটিও তাঁর ভাবনায় প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন জাতীয় স্বনির্ভরতা।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ‘আমার দেখা নয়া চীন’, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই তিনটি লিখেছেন। এই তিনটি বই প্রকাশের পর এখন বেরিয়েছে সিক্রেট ডকুমেন্টন্স অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়