ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) 'আইবিএ গ্র্যাজুয়েশন-২০১৫' গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ শনিবার রাতে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধকে মনে রাখতে হবে, চেতনায় ধারণ করতে হবে।
আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদের সভাপতিত্বে 'আইবিএ গ্র্যাজুয়েশন-২০১৫’ অনুষ্ঠানে ইএমবিএ প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়ের জাহান সোগরা, এমবিএ প্রোগ্রামের চেয়ারপারসন ড. মো. জাগাঙ্গীর আলম বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিবিএ প্রোগ্রামের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক নিয়াজ জামান। অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েট বক্তা ছিলেন সামিট গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে বিবিএ'র ১৯তম ব্যাচের ১০৪, এমবিএ'র ৪৮-৪৯তম ব্যাচের ১৩০ এবং ইএমবিএ'র ১৬ ও ১৭ তম ব্যাচের ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের হাতে উপাচার্য সনদপত্র তুলে দেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় অনুষ্ঠানে ৫ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা হলেন- বিবিএর সাবা হোসাইন খান, এমবিএর রাফিয়া আফরিন এবং এমবিএর (সান্ধ্য) মুনতাসির কাইয়ূম খান, মনজুর মোশাররফ ও গাজী মুহাম্মদ রাসেল বিন হোসাইন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজ্ঞান, ব্যবসায় অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধকে মনে রাখতে হবে, এর সম্মান সমুন্নত রাখতে হবে, চেতনায় ধারণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আইবিএতে ভর্তির সুযোগ পান। দেশ ও জাতির প্রত্যাশাও তাঁদের কাছে অনেক। এ প্রত্যাশা পূরণে মাথা উঁচু রেখে, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
উপাচার্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এবং ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ও শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরীহ ও নিরস্ত্র বুদ্ধিজীবীদের ওপর পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেদিন নজিরবিহীন গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সেই জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে গত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে। সাম্প্রতিককালে ১৯৭১’র গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের পর নিরব থাকার অর্থ তাদের মিথ্যাচার মেনে নেওয়া। এখন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র বা শিক্ষক প্রতিনিধিদল পাকিস্তানে যাবে না। পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণামূলক কর্মকান্ড এখন থেকে স্থগিত থাকবে। পাকিস্তানীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা না করা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
গ্র্যাজুয়েশন বক্তা মোহাম্মদ আজিজ খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটিয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা, মাইক্রোসফট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনেছে। প্রতিযোগিতার বাজারে পরিশ্রম ছাড়া এবং নতুন চিন্তা ছাড়া টিকে থাকা যাবে না। তাই ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন চিন্তা ও ভাবনা বের করতে হবে।
----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) 'আইবিএ গ্র্যাজুয়েশন-২০১৫' গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ শনিবার রাতে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।