মালয়েশিয়ার সেলাংগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক এবং গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ খায়রুল বাশার-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক সচেতন, নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞকে হারালো। এতে গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অপুরণীয় ক্ষতি হলো। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান এবং কর্মোদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক খায়রুল বাশারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ শনিবার রাতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক খায়রুল বাশার মৃতুবরণ করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অংসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মরদেহ আজ কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। আগামীকাল ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক বাশার যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটি থেকে এম এ ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে তিনি সুপরিচিত ছিলেন, দি ডেইলি মনিং নিউজ, সংবাদ, ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোরকালে ইউনেস্কোতে উর্ধতন কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন এবং প্যারিস, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও নাইরোবিতে ১০ বছরেরও অধিক সময় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে কুয়ালালামপুরের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট কমিউনেশনের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। একই সময়ে কুয়ালালামপুুরে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘এইডকম’। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সাময়িকপত্র ‘জার্নাল ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন’-এর সম্পাদক ছিলেন। ২০০০সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ম্যানিলাভিত্তিক সংগঠন ‘প্রেস ফাউন্ডেশন অব এশিয়া’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে তিনি। মালয়েশিয়ার দৈনিক সানসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন।
----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়