ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে গত ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে “মজবুত বিশ্বাসে প্রাণের গান” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম।
‘মজবুত বিশ্বাসে প্রাণের গান’ শীষৃক স্মারক বক্তৃতায় ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস আজকের সামাজিক অস্থিরতা নীতিবিচ্যুতি বিশেষত: ‘ভেদবিচার, সাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য গৌরবহীনতা ও শ্রদ্ধাশূন্যতা’ আর মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সংহত মানবিক বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রত্যাশার কথা বলেছেন। বলেছেন আমাদের সমাজে মানবপ্রেম, মাতৃভূমি প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার কথা।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অধ্যাপক নাজমুল করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রণজিৎ কুমার বিশ্বাসের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাসের জায়গা। দেশ ও জাতির প্রতি আমাদের বিশ্বস্ততার অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বাসঘাতকদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। আজকে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ এই দেশে বসবাস করে দেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না। অথচ রাজনীতি করে, ক্ষমতায় থাকে, এদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে আমরা দাঁড়িয়ে আছি- এটি আমাদের অস্তিত্বের নির্ভরশীলতা। ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণের রক্তধারায় সিক্ত হয়ে আমাদের অস্তিত্ব সত্যকে প্রকাশ করছে। সে সত্যকে আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে, বার বার বলতে হবে। উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে ফরাসি দার্শনিক আদ্রে মালরোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফর প্রসঙ্গে বলেন, কী বাস্তবতার ভিত্তিতে তিনি বলেছিলেন ‘জীবিত শিক্ষার্থীদের চেয়ে মৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি’, তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানিরা ২৫ মার্চ ১৯৭১ জিসি দেবের হত্যাকাÐের মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করেছিল। আবার ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুনির চৌধুরীদের হত্যা করে গণহত্যা শেষ করেছিল। পাকিস্তান সেই গণহত্যার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছিল বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত ২০১৫ এর বুদ্ধিজীবী দিবসে বিশেষ সিন্ডিকেট আহŸান করে তাদের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। নীরব থাকা হলো মিথ্যার সাথে বসবাস, তাই সত্যের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের প্রতিনিয়ত মনে রাখতে হবে কত মূল্যে আমাদের স্বাধীনতা। তোমাদের জানতে হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। সেই চেতনাধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জাগিয়ে রাখতে হবে। আমরা সেই শিক্ষা দিতে চাই যে শিক্ষায় মানসিকতার পরিবর্তন আসবে, মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাসের চেতনায় প্রজ্জ্বলিত হবে সমাজ এবং মানুষ।
উপাচার্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ড. রণজিৎ বিশ্বাসকে এবং আয়োজনের জন্য নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য পরিশেষে নাজমুল করিম সেন্টারের পক্ষ থেকে স্মারক বক্তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে গত ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে “মজবুত বিশ্বাসে প্রাণের গান” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে গত ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে “মজবুত বিশ্বাসে প্রাণের গান” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস। ছবিতে উপাচার্য কর্তৃক নাজমুল করিম সেন্টারের পক্ষ থেকে স্মারক বক্তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করতে দেখা যাচ্ছে। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)