ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে ২ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র-জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “একুশ শতকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা”। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে এ বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সঙ্গীত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ড. শাহনাজ নাসরীন ইলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রনাথের চেতনা ধারা এবং সঙ্গীতের যুগপৎ মিশ্রণে মনোমুগ্ধকর আলোচনা উপস্থাপন করেন। মূখ্যত: তিনি রবীন্দ্রনাথের অসাম্প্রদায়িকতা ও সম্প্রীতির জীবন দৃষ্টি বিবেচনা করে বাংলা এবং বাঙালীর জীবন চেতনাকে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে আলোচনায় তুলে ধরেন। মনুষ্যত্ববোধ ও মানবতাবোধের মূল্যবোধ বিবেচনায় রবীন্দ্রনাথ শুধু একুশ শতক নয়, রবীন্দ্রনাথ সর্বকালের প্রাসঙ্গিকতায় আমাদের প্রাণিত করেন। বিশ্বজনীনতায় রবীন্দ্রনাথ সর্বব্যাপী তাঁর অন্তরলোক বিস্তার করে মুক্তমনা মানুষদের উদ্বুদ্ধ ও উজ্জ্বীবিত করে চলেছেন।
মূল বক্তা রেজওয়ানা চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, সুলিখিত, সুপঠিত ও সুগীত প্রবন্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বন্যার বর্ণনায় রবীন্দ্রনাথের চৈতন্য বিকাশের ধারায় লক্ষ্য করা যায় বাঙালি জাতির মানস কাঠামো গড়ে উঠেছে। পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক সময়ে রবীন্দ্রনাথকে শাসকগোষ্ঠী নিষিদ্ধ করেছিল - সে সময়ে নিষিদ্ধ রবীন্দ্রনাথ জাতীয় চেতনা বিকাশে বাঙালিত্বের শক্তিবৃদ্ধি করেছেন। শক্তি বৃদ্ধি করেছেন আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলন-গণসংগ্রামে। উপাচার্য মোনায়েম খানের রবীন্দ্র সঙ্গীত রচনার হাস্যস্পদ গল্পের উপস্থাপনা করে বলেন- অন্ধকার সময় অতিক্রম করে এসেছি আমরা। রবীন্দ্র চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে, পৃথিবীর নানা ভাষাভাষি সংস্কৃতিসেবিদের ও শিক্ষাব্রতীদের মাঝে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, পৃথিবীর নানা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের রচনা অনূদিত হয়েছে এবং হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ আন্তর্জাতিক পরিমÐলে প্রাসঙ্গিক না হলে তা হতো না। আমাদের নবীন প্রজন্ম - নবীন শিক্ষাথীদের সে প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করতে হবে।
উপাচার্য রবীন্দ্রনাথের কবিতা উদ্ধৃতি করে বলেন, জয় সত্যের জয়, জয় জয় সত্যের জয়। বিশ্ববিদ্যালয় সত্যের অনুসন্ধান করে। পৃথিবীর প্রাচীন প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ তৈরী হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। দুই প্রতিষ্ঠানেরই উদ্দেশ্য সত্য প্রতিষ্ঠা, মূলকাজ সত্য চর্চা করা, সত্যের পূজা করা। আজকে ধর্মের নামে অধর্ম হচ্ছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্মের নামে নারীর সম্ভ্রমহানি হয়েছে - মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মের নামে সন্ত্রাস চলছে। উপাচার্য আরও বলেন, তাই রবীন্দ্রনাথের ‘মানবধর্ম’ আজ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক - সুস্থ সংস্কৃতি ও মানবিক জীবনের স্থিরতার জন্যে, সৃষ্টিশীলতার জন্যে আলোর পথে যাত্রা করতে হলে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সমবেত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য আহŸান জানান, মিথ্যার সাথে সম্পৃক্ত হবে না - মিথ্যা অতিক্রম করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন সৃষ্টি করে রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করে সত্যের ঝাÐা তুলে ধরতে হবে।
বক্তৃতানুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে মনোজ্ঞ সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে ২ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে “একুশ শতকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা” বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সঙ্গীত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ড. শাহনাজ নাসরীন ইলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে ২ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে “একুশ শতকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা” বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সঙ্গীত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ড. শাহনাজ নাসরীন ইলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান। ছবিতে উপাচার্যকে সভাপতির বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে । (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)