ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের উদ্যোগে আজ ২৮ জুলাই ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে “তথ্য অধিকার আইন কি এবং কেন” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক জাফর রাজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম তাঁর মূল প্রবন্ধে চেতনার দিক থেকে তথ্য অধিকার আইনের নানা দিক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য তথ্য কমিশন দুটি কাজ করে থাকে। প্রথমটি তথ্য সরবরাহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং দ্বিতীয়টি জনগণকে অবহিতকরণ। অধ্যাপক খুরশিদা তাঁর প্রবন্ধে বলেন, তথ্য অধিকারের মূল দার্শনিক ভিত্তি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে। বঙ্গবন্ধু ভাষণের শুরুতে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন”, তাই ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’টি জনগণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। যার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, তথ্যের অভাবে একসময় দেশে সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে ‘তথ্য অধিকার আইন’র মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমাদের ভেতরে তথ্য লুকিয়ে রাখার সংস্কৃতি রয়েছে। যেহেতু এদেশের মালিক জনগণ তাই তথ্যটাকে লুকিয়ে রাখা এখন আর সম্ভব নয়। তবে আইন থাকলেই হবে না, এর প্রায়োগিক দিকটা বিবেচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আইনটি কাজে লাগবে। এই তথ্যের অধিকার দিয়ে একজন নাগরিক তার জীবনকে সাজাতে পারবে। সরকারের সকল স্তরে স্বচ্ছতা থাকলে দেশে দুর্নীতি কমে যাবে। এই আইনটি আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের এ ব্যাপারে আরও উজ্জীবিত করা প্রয়োজন। অনেক গুরুত্বের সাথেই আইন জানতে ও কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ ধরনের একটি সেমিনারের আয়োজন করায় আয়োজকদের ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন’ যে লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। পূর্বে সরকারি অনুমোদন ছাড়া তথ্য প্রাপ্তি সম্ভবপর ছিল না। তবে এখন একজন ব্যক্তি সরাসরিভাবে তথ্য চাইতে পারছেন। অর্থাৎ উন্মুক্ত পরিবেশে কাজটি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে তথ্য পেতে অসুবিধায় না পড়েন সেদিক বিবেচনা করে এই আইন প্রণীত হয়েছে। আসলে তথ্য এমন একটি ক্ষেত্র যা আমাদের দেশের সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করে। তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের গর্বিত অধিকার। তথ্য প্রবাহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে। তথ্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আমাদের বিশ্লেষণ করে সামাজিক বিকাশ ও প্রবণতা সম্পর্কে জানা যাবে। তার মাধ্যমে আমরা তথ্য-সমাজ নিশ্চিত করতে পারব।
--------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের উদ্যোগে আজ ২৮ জুলাই ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে “তথ্য অধিকার আইন কি এবং কেন” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক জাফর রাজা চৌধুরী। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)