বরেণ্য সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ ২৮ জুলাই ২০১৬ বৃহস্পতিবার এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, মহাশ্বেতা দেবী ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে একটি নক্ষত্রের পতন হলো।
উপাচার্য মহাশ্বেতা দেবীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকায়ই জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বিদ্যালয় স্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ঘটক পরিবার পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মহাশ্বেতা দেবীর পিতা মনিষ ঘটক ছিলেন পূর্ব বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও কবি। তাঁর মা ধরিত্রী দেবী ছিলেন একজন কবি ও সুলেখিকা। বিখ্যাত চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ছিলেন তাঁর কাকা। তাঁর সন্তান নবারুন ভট্টাচার্য বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন।
প্রথম জীবনে মহাশ্বেতা দেবী কলিকাতার বিজয়গড় কলেজে ১৯৬৪ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। এই সময়েই মহাশ্বেতা দেবী সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি বিখ্যাত হন মূলত আদিবাসী ও নারীদের ওপর মূল্যবান লেখনী ও সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে। বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে মহাশ্বেতা আদিবাসী ও নারী নিগ্রহ, শোষণ- বঞ্চনার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন।
ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করেছে। তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং সাহিত্য ব্রহ্ম সম্মানে ভূষিত হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানেও সম্মানিত করে। মহাশ্বেতা দেবী আন্তর্জাতিক ‘র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার’ অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, মহাশ্বেতা দেবী আজ ২৮ জুলাই ২০১৬ বৃহস্পতিবার কলিকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়