নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলা ভাষায় প্রথিতযথা কবি শহীদ কাদরী-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, দেশের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’ ও বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত শহীদ কাদরী ছিলেন বাংলা কবিতার অন্যতম জীবিত স্বতন্ত্র কাব্যধারার প্রতিনিধিত্বশীল কবি। আজীবন তিনি সাহিত্য অঙ্গনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। শহীদ কাদরী বাংলাদেশের টেলিভিশন সম্প্রচারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকান্ড তিনি মেনে নিতে পারেন নি, তাঁর লেখা ও ভাবনায় তা প্রকাশ করেছেন। কবিতায় প্রকাশ করেছেন তাঁর অর্ন্তবেদনার কথা। উপাচার্য প্রয়াত কবির আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
পঞ্চাশ উত্তর বাংলা কবিতায় আধুনিক মনন ও জীবনবোধ সৃষ্টিতে যে কজন কবি উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্য অন্যতম শহীদ কাদরী। আধুনিক নাগরিক জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, স্বদেশচেতনার পাশাপাশি বিশ্ব-নাগরিক বোধের সম্মিলন ঘটে তার কবিতায়। ‘উত্তরাধিকার’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘কোথাও কোন ক্রন্দন নেই’ ও ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ এই চারটি কাব্যগ্রন্থ দিয়েই বাংলার জনপ্রিয় কবিদের একজন শহীদ কাদরী। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি ও ২০১১ সালে তাকে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট কলকাতায় জম্ম নেওয়া শহীদ কাদরী সাতচল্লিশে দেশভাগের পর বাংলাদেশে আসেন। ১৯৭৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের বাইরে তিনি। জার্মানি, ইংল্যান্ড হয়ে ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন।
উল্লেখ্য, গতকাল ২৮ আগস্ট ২০১৬ রবিবার নিউইয়র্কের নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
--------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়