মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন-এর মরদেহে গতকাল ২৪ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য হেমায়েত উদ্দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন জাতির কৃতী সন্তান। তিনি নিজের লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করেছেন। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। এদেশের মানুষ সারাজীবন তার মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। একই অবদানের জন্য তার নামে কোটালিপাড়ার টুপুরিয়া গ্রামে ‘হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি যাদুঘর’ নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ স্মৃতি যাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। হেমায়েত বাহিনীতে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫৫৮ জন। এ বাহিনী বরিশালের উত্তরাঞ্চল, খুলনা-বাগেরহাট ও নড়াইলের কালিয়া, গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুরের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ঢাকার মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হেমায়েত উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়