আজ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তত্ব’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপী ইউনিট এবং বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসএবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামান মজুমদার এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান। মূল বক্তব্যের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মানসিক সুস্থতার বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, মানসিক অস্থিরতার জন্য মানসিক অসুস্থতাই দায়ী। তারুণ্যের বিভ্রান্তি, বিপথগামিতার জন্য দায়ী মাদকের ব্যবহার এবং এর একমাত্র সমাধান কাউন্সিলিং। অভিভাবকদের সন্তানকে বেশি সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ-এর বিশ্বব্যপী অটিস্টিক বিষয়ক কাউন্সিলিং’র উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি এবং মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের দাবির বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিভিন্ন সামাজিক অস্থিরতার উদাহরণ উল্লেখ করে আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তাত্বিক পরিচর্যার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মনোবিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি। মোটর সাইকেলের জন্য পুত্রের হাতে অগ্নিদদ্ধ হন পিতা, এটি মানসিক আগ্রাসী ও অসহনশীলতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এগুলো এক ধরনের সামাজিক অস্থিরতা। শারীরিক অসুস্থতা মানসিক অসুস্থতার চেয়ে অনেক বড়। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করছে সামাজিক সুস্থতা। এই সামাজিক সুস্থতার জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী রয়েছে বলেও উপাচার্য উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০১৬ ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিবস উৎযাপনের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো এই সেমিনার। এবছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- ‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা।
------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আজ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তত্ব’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এতেপ্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)
আজ ২৮ অক্টোবর ২০১৬ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তত্ব’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)