মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্রের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজেয় বাংলা’ এবং ‘সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ’ এর আয়োজনে ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার রমেশ চন্দ্র মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এক জনবক্তৃতা ও বীরাঙ্গনাদের ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান।
এতে ‘The Spectral Wound: Sexual Violence, Public Memories, and Bangladesh War of 1971’ শীর্ষক জনবক্তৃতা প্রদান করেন যুক্তরাজ্যের ডরহাম ইউনিভার্সিটির গবেষনা পরিচালক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের রিডার ড. নয়নিকা মুখার্জী। ‘সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ’ এর পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। আলোচক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর সেন্টার ফর এডভান্স থিউরি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর ট্রাস্টি মফিদুল হক এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন।
‘অপরাজেয় বাংলা’ এবং ‘সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ’ এর সমন্বায়ক এ টি এম জায়েদ হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের পরপরই প্রদর্শন করা হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্মিত ৫মিনিটের তথ্যচিত্র ‘বীরাঙ্গনা বীর মাতাদের জবানীতে একাত্তরের ভয়াল স্মৃতি’। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৯ জন বীরাঙ্গনাকে ৫হাজার টাকা করে এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। তারা হলেন- হনুফা বেগম, রহিমা খাতুন, সাবিহা আহমেদ, সন্ধ্যারানী ঘোষ, কাননী গোমেজ, রিজিয়া বেগম, রেজিয়া বেগম, নাজমা আক্তার ও নূরজাহান বেগম। বীরাঙ্গনাদের পক্ষ থেকে হনুফা বেগমের অভিজ্ঞতা বর্ননা এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষনে উপস্থিত সুধীরাও আবেগ প্রবণ হয়ে উঠে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন- স্বাধীনতা উত্তরকালে বীরাঙ্গনাদের প্রতি আমাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত আচরন নিন্দাজনক। পরবর্তিতে তাদের প্রতি ঘটে যাওয়া পারিবারিক বা সামাজিক ঘটনাগুলোও নিভৃতে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টিকে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বীরাঙ্গনাদের দেখাশুনা করার আসল দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের সে দায়িত্ব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন তবে দুঃখজনক হলো এখন পর্যন্ত খুব অল্প সংখ্যক বীরাঙ্গনা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি লাভ করেছেন। কিছু সংখ্যক বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গ্যাজেট-এ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অনেকেই এখনো স্বীকৃতি পাননি। আজকের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই যারা এই বীরাঙ্গনাদের অনুদান প্রদান করেছেন তাদেরকে।
-------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্রের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজেয় বাংলা’ এবং ‘সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ’ এর আয়োজনে ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার রমেশ চন্দ্র মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এক জনবক্তৃতা ও বীরাঙ্গনাদের ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীরাঙ্গনাদের ভাতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। ছবিতে অতিথিদের সাথে ভাতাপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনাদের দেখা যাচ্ছে। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)