বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত অনুরাগী বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর মৃতুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বাণীতে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তি সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত অনুরাগী ছিলেন কাস্ত্রো। তিনি পৃথিবীর ভাগ্যাহত মানুষের উন্নত জীবনের জন্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। লড়াই করেছেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। পৃথিবীর বৃহৎ শক্তির চোখ রাঙানিতে তিনি নত হননি। প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর স্বপ্নের রাষ্ট্র কিউবাকে। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নিত করতে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সমর্থন করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। বাঙালী জাতি তা চিরদিন স্মরণ রাখবে’।
আজ ২৬ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার ৯০ বছর বয়সে ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনাবসান ঘটেছে।
১৯২৬ খ্রীস্টাব্দে কিউবার বিরানে স্প্যানিশ বংশোদ্ভূদ এক সচ্ছল পরিবারে ফিদেল কাস্ত্রো জন্মগ্রহণ করেন। কাস্ত্রো দীর্ঘদিন বিপ্লবী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে কিউবাকে মুক্ত করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ১৩ ফেব্রæয়ারি ১৯৫৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে অর্ধশতককাল নিজের আদর্শের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে ছোট ভাই রাহুল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবসর গ্রহণ করেন। কিউবার মানুষের কাছে তিনি স্বপ্নের নায়ক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ সরকার ৩ বছর আগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’য় ভূষিত করে।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়