ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে আজ ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ রবিবার সকালে রমেশ চন্দ্র মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশঃ ১৯৫২-৬২’ শীর্ষক নাজমুল করিম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক কে এ এম সা’দউদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অধ্যাপক নাজমুল করিমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানবে। ইতিহাস চর্চায় নিজেদের প্রস্তুত করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। স্মারক বক্তৃতায় উঠে এসেছে কিভাবে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ এই কথা বলে পাকিস্তান ধ্বংসের বীজ বপন করেছিলেন। বিজয়ের মাসে উপাচার্য শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ করে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের সকলকে। তিনি বলেন, আমরা আজকে যে স্বাধীনতা ভোগ করছি তা ৩০লক্ষ শহীদের আতœত্যাগের বিনিময়ে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞায় ৯মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আতœসমর্পনে বাধ্য করে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মানুষের সবচেয়ে বড় আভিজাত্য হলো দেশের জন্য, ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল। সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে সেজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবান্বিত। আমরাও তাতে গৌরব বোধ করি।
----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে আজ ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ রবিবার সকালে রমেশ চন্দ্র মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশঃ ১৯৫২-৬২’ শীর্ষক নাজমুল করিম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক কে এ এম সা’দউদ্দিন।