ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় উৎসব ২০১৬’ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অ্যালামনাইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ’৭১-এর এই দিনে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের মৃত্যু হচ্ছে সম্মানের, আভিজাত্যের এবং শ্রেষ্ঠ মৃত্যু। তারা হলেন এদেশের সূর্যসন্তান। তিনি বলেন, এর আগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের ওইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃত্বাধীন লোকদের পাকবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তবুও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেদিন আমরা অসংখ্য শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। ’৭১-এর ৩০ লক্ষ শহীদ এবং জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন, যতদিন এদেশের অস্তিত্ব থাকবে। ’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রæত সম্পন্ন করার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানী বাহিনী ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের কৃতী সন্তানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। মঈনুদ্দিন, আশরাফসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিশ্বাসঘাতক ছাত্র তাদের এই নৃশংস কর্মকাÐে সহযোগিতা করেছিল। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রæত কার্যকর করার আহŸাব জানান উপাচার্য।
প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, ১৯৭১ সালের সঙ্গে বর্তমানের আকাশ-পাতাল তফাৎ। বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতকেও পেছনে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, একাত্তর সালে আমরা অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আমরা পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত হতে পারিনি।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হলেও স্বাধীনতার শত্রæরা এখনও সক্রিয়। সুযোগ পেলে তারা আবারও থাবা মারবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে অ্যালামনাইদের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থাভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীরও যাতে পড়ালেখা বন্ধ না হয় সে জন্য আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া, চিকিৎসাকেন্দ্র, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে আমরা ভূমিকা রেখেছি।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী, ময় কুমার গাঙ্গুলী, রূপা ফরহাদ ও মালা খুররম। এছাড়া, অন্য শিল্পীরা গান, নৃত্য, আবৃত্তি, মূকাভিনয় করেন। সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী।
-----------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় উৎসব ২০১৬’ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অ্যালামনাইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ দফতর)
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় উৎসব ২০১৬’ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অ্যালামনাইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ছবিতে উপাচার্যকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ দফতর)