২০১৬ সালের বিএসএস সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের মেধাবী ছাত্র মো. আফতাব ‘তাজউদ্দীন আহমদ শান্তি স্বর্ণপদক’ লাভ করেছেন। এছাড়া, একই বিভাগের নওশীন আকন্দকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করায় বিভিন্ন বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থীকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক, বৃত্তি ও পুরস্কার তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ‘তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি: এক তরুণের রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা’ শীর্ষক “তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা ২০১৮” প্রদান করেন। স্বাগত ভাষণ দেন ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডে’র দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা মিসেস শারমিন আহমদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম। 

স্মারক বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন তাজউদ্দীন আহমদের দেশপ্রেম ও ভাবনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা, তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন। তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, তিনি স্কাউট আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সভাপতিও নির্বাচিত হন। সংগঠনের উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ভেবেছেন, নিজেও সাধারণ জীবন-যাপন করেছেন। ইতিহাসের এই মহানায়ক মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত ছিলেন আপোষহীন রাজনীতির অনুরক্ত। যখনই আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস লিখব তখনই তাঁর নাম আসবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন দর্শন থেকে শিক্ষালাভ করতে হবে। তাজউদ্দীন আহমদের জীবন দর্শনের প্রভাব শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রতিফলিত হবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন মো. সাইফুল ইসলাম খান (ইতিহাস), সুহৃদ সাদিক (বাংলা), প্রিয়াঙ্কা সুলতানা হেমা (পপুলেশন সায়েন্সেস), নাসরিন জেবিন (শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন) ও আহমদ সালমান সিরাজী (অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ)।
 ----------

পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

২০১৬ সালের বিএসএস সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের মেধাবী ছাত্র মো. আফতাব ‘তাজউদ্দীন আহমদ শান্তি স্বর্ণপদক’ লাভ করেছেন। এছাড়া, একই বিভাগের নওশীন আকন্দকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করায় বিভিন্ন বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থীকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক, বৃত্তি ও পুরস্কার তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছবিতে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেখা যাচ্ছে।(ছবি-ঢাবি জনসংযোগ)